পা দিয়ে লিখে টানা চতুর্থবার জিপিএ-৫ পাওয়া যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া আলীপুর গ্রামের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন দম্পতির সন্তান তামান্না আক্তার নূরার সাথে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা।

গত ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাসহ দু’টি স্বপ্নের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছিলেন তামান্না। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ও সন্ধ্যায় পৃথক দু’টি অটঅ্যাপ নম্বরে অডিওকলে ফোন দিয়ে তামান্নাকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। একই সাথে তারা দুই বোন তামান্নার স্বপ্নপূরণে যেকোন সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। সোমবার সন্ধ্যা ৬ টা ৫৬ মিনিটে হোয়াটঅ্যাপে একটি ফোন আসে। তামান্না ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে এক আওয়াজ আসে, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছিলাম। আমি কি তামান্নার সাথে কথা বলছি?’ প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠ শুনে তামান্না প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি।

পরে প্রধানমন্ত্রী তাকে অভিনন্দন জানান। এসময় আবেগের বসে কেঁদেই ফেলেন তামান্না। কান্না থামিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সালাম দেন তিনি। এ সময় তামান্না প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা এবং তার স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রীকে পাশে চান। তামান্নার সঙ্গে টানা ৪ মিনিটের কথাপোকথনে প্রধানমন্ত্রী তামান্নাকে একাধিকবার সাহস হারাতে নিষেধ করেন। বলেন, ‘সাহস আর মনোবল থাকলে তুমি অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাতে পারবে’। এর আগে বিকাল সাড়ে ৪ টার ছোট বোন শেখ রেহানা ফোন দিয়ে তামান্নাকে বলেন, ‘তোমার সংগ্রামের কথা শুনেছি। তুমি খুব সাহসী। আমরা দুই বোন বেঁচে থাকা পর্যন্ত তোমাকে সহযোগিতা করে যাবো’।

 

কলমকথা/সাথী